পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানিয়ে দিলেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল।
এর মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সব তথ্য দিয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেই রিপোর্টে জানাতে হবে কতজন মনোনয়ন পেশ করেছেন, কতজন প্রত্যাহার করেছেন, স্ক্রুটিনিতে কী ধরা পড়েছে, কতগুলি অভিযোগ এসেছিল কমিশনের কাছে— এই সব তথ্য।
একই সঙ্গে বিজেপি-কে তথ্য গোপন করার অভিযোগে হাইকোর্ট ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল আদালত।
একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেও সেই তথ্য কলকাতা ও শীর্ষ আদালতেও গোপন করেছিল বিজেপি। এই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েই বিজেপি-কে জরিমানা করল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বৃহস্পতিবার সকালে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস তিনটি দলই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এক দিনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েও তা নির্বাচন কমিশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেই বিজেপি আদালতের কাছে আবেদন করে। একই সঙ্গে কংগ্রেসও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে হিংসার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আদালতের কাছে যায়। বামেরাও সব মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আর্জি জানায়।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই আবেদনগুলির বিরোধিতা করা হয়।