মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে আড়াই বছরের ঐত্রি দে’র মৃত্যুর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
হাসপাতালের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই হুমকি দিয়েছিলেন, ‘‘এখানে মস্তানি করবেন না। আমার থেকে বড় মস্তান কেউ নেই।’’ গাফিলতি এখনও প্রমাণ হয়নি, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে ঐত্রির পরিবারের কোনও কথা শুনবেন বলেও মৃত বাবা-মায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এক টেলিভিশন চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, ঘটনার তিন সপ্তাহ পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাবেই ঐত্রির মৃত্যু হয়েছে।
ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে, ঐত্রির ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের কয়েকটি জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। দেহে ‘হেমারেজিক স্পট’ পাওয়া গিয়েছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়েছিল শিশুটির।
কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে অ্যাসফেক্সিয়ার কারণেই এই মৃত্যু ঘটেছে। কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়া থেকেই এটি ঘটতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাতে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ঐত্রিকে। পরের দিন ভোরের দিকে শিশুটির শ্বাসকষ্ট ও বমি শুরু হলে চিকিৎসকরা ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পরে ঐত্রির পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। স্বাস্থ্য কমিশনেও নাশিল জানান তাঁরা। ধরনায় বসলে আমরি কর্তৃপক্ষও ‘মস্তান’ জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ ও তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছিল।