অঙ্ক পরীক্ষায় ৫০-এর মধ্যে ২০ পাওয়ার অপরাধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে লাঠি দিয়ে নির্মম মারধর করার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটে। মারের কারণে মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট নিয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দশম শ্রেণির ছাত্র সাগ্নিক ঘোষ। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সৌভ্রাত্র ঘোষের শাস্তির দাবি জানিয়ে রানাঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছে আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার।
নিজস্ব চিত্র
অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, রানাঘাট পালচৌধুরী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাগ্নিক রানাঘাট দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সৌভ্রাত্র ঘোষের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়ত। রবিবার সন্ধ্যায় ওই গৃহশিক্ষক ছাত্রদের অঙ্কের পরীক্ষা নেন। সেই পরীক্ষায় সাগ্নিক ৫০ এর মধ্যে ২০ পায়।
তার পরই কম নম্বর পাবার জন্য সাগ্নিককে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষক। মারতে মারতে মোটা লাঠিও এক সময় ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। পরে বন্ধুরা সাগ্নিককে বাড়ি পৌঁছে দিলে বাড়ির লোক ওই ছাত্রকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট থাকায় চিকিৎসক সাগ্নিকের হাতের এক্সরে ও মাথার স্ক্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার কথা পরিবারকে না জানিয়ে এই রকম নির্মম ভাবে মারার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এই ঘটনায় শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে রানাঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্ত ছাত্রের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।