রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের পুরস্কার পাওয়াকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্তির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বীরভূমের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই স্বীকৃতির জন্যই এবার রবীন্দ্রনাথ এবং অমর্ত্য সেনের সঙ্গে মমতাকে একই বন্ধনীতে বসালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার হুগলির শ্রীরামপুরে তৃণমূলের একটি সম্মেলনে বক্তৃতা করেন কল্যাণ। মমতার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে চলে এসেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় সাংসদ। তার পরেই ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের আন্তর্জাতিক সম্মানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অমর্ত্য সেনের নোবেলপ্রাপ্তির প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
কল্যাণ বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বললে আমরা গর্ববোধ করি। তিনি নোবেল পুরস্কার নিয়ে এসেছিলেন। অমর্ত্য সেন যেদিন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেদিন টেলিভিশনের সামনে বসে চোখ থেকে জল বার হয়ে এসেছিল। আজ ২০১৭ সালে আর একজনকে দেখতে পাই। বিশ্বের দরবারে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রীর জন্য বিশ্ববন্দিত হচ্ছেন। মনে করি কোথায় এসেছি আমরা! কে আমাদের নেত্রী! আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীবনে অনেক সৌভাগ্য করলে তবে এমন একজন নেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে পারা যায়।’’
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের জন্য সম্মানিত করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর থেকেই ওই পুরস্কারকে রাজ্য সরকারের সাফল্য প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায়। তৃণমূলের ছোট-বড় যে কোনও সভায় নেতাদের বক্তৃতায় উঠে আসছে এই পুরস্কারের প্রসঙ্গ। এ ব্যাপারে কার্যত একটা অলিখিত প্রতিযোগিতাই শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে। সেই প্রতিযোগিতায় একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনুব্রত, কল্যাণেরা।
‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের পুরস্কারপ্রাপ্তির পর অনুব্রত বলেছিলেন, ‘‘কবিগুরুর নোবেল পাওয়া যেমন স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’’