কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রকাশ্যেই খুন করা হল ভদ্রেশ্বর পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান মনোজ উপাধ্যায়কে। স্থানীয় ক্লাব থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে মঙ্গলবার রাতে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। আতঙ্কে ভুগছেন ভ্রদেশ্বরল-সহ গোটা হুগলি জেলার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার রাতে রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ এক পরিচিতের সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন মনোজ উপাধ্যায়। মনোজবাবু পিছনের আসনে বসেছিলেন। জি টি রোডের উপরে তাঁর বাড়ির খুব কাছেই চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল এসে মনোজবাবুদের পথ আটকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে ১০ থেকে ১২জন দুষ্কৃতী সেখানে ছিল। খুব কাছ থেকে মনোজবাবুকে লক্ষ্য করে অন্তত চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলি লাগে মনোজবাবুর বুকে এবং মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
মনোজবাবুকে উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
দেখুন ভিডিও
তৃণমূল সূত্রে খবর, এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মনোজবাবু। শুধু তাই নয়, তোলাবাজির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ফলে এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আর এসবের ফলেই দলের একাংশের বিষ নজরে পড়ে যান তরুণ এই পৌরপ্রধান। তার জেরেই এই খুন বলে অভিযোগ।
যদিও, হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের অভিযোগ, সিপিএম থেকে বিজেপি-তে আসা রতন এবং রাজু-সহ কয়েকজন দুষ্কৃতী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করেছে পুলিশ। কেন এই খুনের ছক সম্পর্কে আগে থেকে পুলিশ খবর পেল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তপনবাবু।
ঘটনার সময়ে মনোজবাবুর সঙ্গে যে সঙ্গী ছিলেন, তাঁর বয়ানও নিয়েছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।