কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় কোনও ‘ফাঁদে’ পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবারের মতো শোভনকে সতর্ক করে দেওয়ার পর অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে শাসকদল সূত্রের খবর। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের অভিমত, শোভন সত্যিই ফাঁদে পড়লে তাতে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন।
শাসকদল সূত্রের খবর, মমতা মনে করেন, রাজ্যসভায় দলের দুই সাংসদ অন্য একটি রাজনৈতিক দলের ‘প্রবল চাপে’ পড়ে মাঝপথে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। শোভনের ক্ষেত্রে তা হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনে শোভন এখন একটা ঘোরের মধ্যে আছেন বলে মমতা মনে করেন। সেই সুযোগে মেয়রকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে কি না, তা তৃণমূল খতিয়ে দেখছে।
তৃণমূলের ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, এরপর আর একবারও শোভনের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নেত্রী খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অবস্থাটা এখন ৫০:৫০। তবে শোভনকে হারাতে হতে পারে, সেটা এক রকম ধরে নিয়ে মেয়র পদ, রাজ্য মন্ত্রিসভা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় দলের শীর্ষপদে বিকল্প মুখ খুঁজছেন নেত্রী।’’
শাসকদলের আরেকটি সূত্রের খবর, মেয়র পদে শোভনের বিকল্প হিসেবে কোনও কাউন্সিলর নন, মমতার পছন্দসই এমন কাউকে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারে দল। শৈলেন দাশগুপ্তের মৃত্যুর পর এক বছরেরও বেশি ফাঁকা রয়েছে ওই ওয়ার্ড।
তৃণমূলের আরেক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে দলনেত্রী শোভনকে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখন নেত্রী চাইছেন, শোভন আগে পুরসভা, সরকার ও দলের স্বাভাবিক কাজে ফিরুন, তারপর ওই ব্যাপারে ফয়সালা হবে।’’