দলের টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির মহাজোটের কাছে ধরাশায়ী হলেন তৃণমুলী আইনজীবীরা। জেলা ও দায়রা আদালতের জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হল শনিবার। প্রোগ্রেসিভ ল ইয়ার্স ফোরামের কাছে হারল তণমূল। নজরকাড়া আসন জিতল বিজেপি।
মহাজোটের জেতা ১৭টি আসনের মধ্যে ৭ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে জয়ী হলেন বিদায়ী সম্পাদক অভিজিৎ সরকার। পাশাপাশি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো সম্পাদক, সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ-সহ সব পদেই হেরে গেল তৃণমূল। কেবল মাত্র সহ-সম্পাদক পদে এক জন তৃণমুল প্রার্থী জয়ী হলেন।
জলপাইগুড়ি বার এ্যাসোসিয়েশন এর মোট ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসন প্রোগ্রেসিভ ল ইয়ার্স ফোরাম জিতেছে। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের মোট ভোটার ছিলেন ৫১৮ জন। তার মধ্যে ৪৮৩ জন ভোট দিয়েছিলেন।
এবারের বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে তৃণমূল কোর্ট চত্বর জুড়েই নিজেদের প্রার্থীদের সমর্থনে বড় বড় হোর্ডিং, ফ্লেক্স দিয়ে মুড়ে ফেললেও শেষ হাসি হাসল মহাজোট। হারের পর তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি গৌতম দাস বলেন, ‘‘এটা আমাদের নৈতিক জয়। কারণ আমাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে জোট করেছিল কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিএম। তিনি বলেন রাজনৈতিক ভাবে আমরা জিতেছি।’’ আবার তৃণমূল নেত্রী শান্তা চট্টোপাধ্যায়, ‘‘আমার ঐতিহাসিক হার। কারণ আমি আগে ১১ বার ভোটে জিতেছি। এবার আমি হেরে গেলাম। এটা মেনে নিতেই হবে।’’
এদিকে সম্পাদক পদে জয়ী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী তথা বারের বিদায়ী সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, ‘‘শাসক দলের বিরুদ্ধে একটা জোট হয়েছিল সেই জোটে আমরা জয়ী হয়েছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটটা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। এখানে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। যারা বলছে অনৈতিক জোট হয়েছিল, তারা সঠিক কথা বলছে না। কারণ আইনজীবীরা সব দলের মামলাই লড়েন। যারা শাসক দলে আছেন তারা কি অন্য দলের মামলা লড়েন না?’’