ফের বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সেলফি। এবার বাইসন! বুধবার দুপুরে চাপরামারি অভয়ারণ্যের একটি বাইসন বেরিয়ে রেললাইনের কাছে চলে আসে। তাকে দেখেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকেরা। ভয়ডর দূরস্থান, তাঁরা মত্ত হয়ে ওঠেন ওই বাইসনের সঙ্গে সেলফি তোলায়!
সেলফি তোলার হুল্লোড়! নিজস্ব চিত্র
চাপরামারি অভয়ারণ্যের কাছেই রেল লাইনের আশপাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পূর্ণবয়স্ক বাইসনটি ছিল। দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত। কখনও রেল লাইনের পাশ দিয়ে, কখনও বা লাইনের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে থাকে সে। এক নাগাড়ে সেই সব ছবিও পর্যটকরা নিজেদের ক্যামেরা ও মোবাইলে বন্দি করতে থাকেন। বিপজ্জনক বুঝেও বাইসনকে পিছনে রেখে সেলফি তুলতেও পিছপা হননি অনেকে।
সবে দিন দশেক হল বন্ধ হয়েছে জঙ্গল। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জঙ্গল বন্ধ থাকবে। এটি বন্যপ্রাণীর প্রজনন ঋতু এবং গাছপালার বেড়ে ওঠার সময়। এই অবস্থায় বাইসনের দেখা পেয়ে সেই সুযোগ হারাতে চাননি পর্যটকরা।
কিন্তু জঙ্গলের রাস্তায় বন্যপ্রাণী বিভাগ থেকে রীতিমতো সাইনবোর্ড টাঙিয়ে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সেলফি বা ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে অনেকদিন। গত বছর ডুয়ার্সে লাটাগুড়ির জঙ্গলে হাতির ছবি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারান এক সমবায় ব্যাঙ্কের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী। জঙ্গলে হাতির তাড়া, বাইসনের তেড়ে আসার মতো ঘটনায় জখমও হয়েছেন কেউ কেউ। তা সত্ত্বেও সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে কি পর্যটকেরা গুরুত্ব দিচ্ছেন? সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি কি কমছে আদৌ?
কী বলছেন পর্যটকরা, দেখুন ভিডিও—
তবে বাইসনটিকে জঙ্গলে পাঠাতে কেউ-ই বনকর্মীদের খবর দেননি। শেষ পর্যন্ত চাপরামারি রেলওয়ে লেবেল ক্রসিং-এর দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীরাই ঢিল মেরে, চিৎকার করে বাইসনটিকে চাপরামারির জঙ্গলে পাঠিয়ে দেন।