শনিবার সকালে পুরুলিয়ার বলরামপুরে দুলাল কুমার নামে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। ৩০ মে এই বলরামপুরেই উদ্ধার হয়েছিল অন্য এক বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ।
চার দিনের মধ্যে দু’জন বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক ভাবে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাপে পড়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
দু’জনের ক্ষেত্রেই বিজেপির অভিযোগ যে, শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন এঁরা।
দুলালের দেহ হাই টেনশন তারের টাওয়ার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের বক্তব্য, শনিবার বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু রাতে বাবাকে দোকানে খাবার দিতে গিয়েছিলেন। তার পরে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।
বলরামপুর-বাঘমুণ্ডির রাস্তা থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে টাওয়ারের প্রায় ১০ ফুট উপর থেকে ঝুলছিল।
রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। বহিরাগতদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এটিকে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকেই।
উল্টো দিকে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে লেখেন, ‘‘আমরা এই খুনের তীব্র নিন্দা করছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে। এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের শাস্তি হবেই। এই ঘটনায় মাওবাদী, বজরং দল, বিজেপি বা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকার কারও যোগ রয়েছে কিনা তা সঠিক তদন্ত করে খুঁজে বের করতে হবে।’’
৩০ মে উদ্ধার হওয়া বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ত্রিলোচন মাহাতোর টি-শার্টে ও দেহের পাশে পোস্টারে লেখা ছিল, ‘‘১৮ বছর বয়সেই বিজেপির রাজনীতি এ বার তোর প্রাণনীতি হল। তোকে ভোট থেকেই এই কাজটা করার চেষ্টা করি। পারিনি। আজকে তোর প্রাণ শেষ।’’
এই মৃত্যু রহস্যেরও কোনও কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিশ।