দু’জনের অনেক মিল। শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরও যে মিলে যাবে, তা কে জানত?
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের দুই ছাত্র নীলাব্জ দাস এবং মৃণ্ময় মণ্ডল মাধ্যমিকে যুগ্ম ভাবে তৃতীয় স্থান দখল করেছে। একই ক্লাসের ছাত্র নীলাব্জ-মৃণ্ময় দু’জনে ভাল বন্ধু। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৮৭।
জলপাইগুড়িতে দু’জনের বাড়িও পাশাপাশি দুই পাড়ায়। নীলাব্জ থাকে জলপাইগুড়ির দেশবন্ধুনগরের পাণ্ডাপাড়ায়। আর মৃণ্ময় থাকে পাশের জে সি বোস লেনে।
এখানে শেষ নয়, দু’জনের বাবার পেশাতেও রয়েছে। নীলাব্জর বাবা তনয়কান্তি দাস এবং মৃণ্ময়ের বাবা রঞ্জিৎকুমার মণ্ডল— দু’জনের বাবাই পেশায় স্কুল শিক্ষক। নীলাব্জের মা-ও পেশায় শিক্ষিকা।
দুই বন্ধুর নম্বরেও মিল, কী বলছে নীলাব্জ, দেখুন ভিডিও ১
তবে ভবিষ্যত নিয়ে অবশ্য দু’জনের পছন্দে বড় অমিল রয়েছে। নীলাব্জ বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। মৃণ্ময় চায় গুগলে চাকরি করতে। মৃণ্ময় ফিজিক্স নিয়ে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে রয়েছে। বিরাট কোহলির ভক্ত মৃণ্ময়। বিভিন্ন জায়গায় ক্যুইজ কনটেস্টে অংশ নিতে ভালবাসে সে।
শুনুন মৃণ্ময়ের প্রতিক্রিয়া, দেখুন ভিডিও ২
নীলাব্জ অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছে, এত ভাল ফল হবে সে ভাবেনি। টেস্টে স্কুলে দ্বিতীয় হয়ে ৬৬০ পেয়েছিল সে। এবারে সেই ফলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে নীলাব্জ। ছেলের সাফল্যের জন্য তার বাবাও জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের শিক্ষকদেরই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এবারে মাধ্যমিকে মোট তিনজন তৃতীয় স্থান দখল করেছে। বলা ভাল, উত্তরবঙ্গের তিন ছাত্রছাত্রী তৃতীয় স্থান দখলে রেখেছ। নীলাব্জ, মৃণ্ময় ছাড়াও কোচবিহারের ময়ূরাক্ষী সরকারও এবারে মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে।