বর্তমানে তাঁর বয়স ২১ বছর। থাকেন তালতলায়, জ্যেঠু-জেঠিমার সঙ্গে। বাবা থাকেন দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে।
জীবনে কোনও অভাব না থাকলেও, যুবতীর দুঃখ একটাই— তিনি জানেন না তাঁর মা কে। এই একুশ বছরের মধ্যে মায়ের কোনও ছবিও দেখেননি তিনি। জ্যেঠু-জেঠিমা, বাবা, এমনকী সৎ মাকে জিজ্ঞাসা করেও কখনও কোনও উত্তর পাননি তিনি।
বর্তমানে স্নাতকত্তোর পড়ছেন তালতলার এই বাসিন্দা। মায়ের পরিচয় জানার আকুল আগ্রহে তিনি এবার দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী, তালতলা থানার কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন আগামী ১৮ ডিসেম্বর।
জন্মের পরেই মেয়েকে নিজের দাদা-বউদির হাতে তুলে দিয়েছিলেন যুবতীর বাবা। সেখানেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন যুবতী। কিন্তু তাঁর মন সব সময় কাঁদত মায়ের জন্য। নিজের জন্ম রহস্য জানার আগ্রহ মেটাতে তাই প্রথমে তালতলা থানায় যান তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। বাধ্য হয়ে শেষে হাইকোর্টে যান তিনি।
আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে যুবতীর আইনজীবী, অনিরূদ্ধ চট্টোপাধ্যায় এবং জাভেদ শানোয়ারয়ালা বলেন, গত ৭ মার্চ তালতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটিকে এফআইআর হিসেবে নেয়নি।
মায়ের পরিচয় জানতে যুবতী এখন কোর্টের দিকেই তাকিয়ে।