নাসা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মহাকাশচর্চা সংস্থা। নাসার পরিকাঠামোর তুলনা হয় না। কিন্তু তা বলে, মহাকাশচর্চায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশ-সহ ভারতও পিছিয়ে নেই। ভারতের স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন বা ইসরো যে মহাকাশপ্রযুক্তিতে কতটা এগিয়ে গিয়েছে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ কার্টোস্যাট ২-সি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটের পাঠানো সীমান্ত অঞ্চলের বিশদ ছবি সার্জিক্যাল অ্যাটাকের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করেছিল ইসরো। সেই স্যাটেলাইট ইমেজগুলিতে এতটাই বিশদে ওই অঞ্চলের ছবি ধরা পড়েছিল যে স্ট্র্যাটেজি সাজাতে প্রভূত সুবিধা হয় সেনাকর্তাদের।
সম্প্রতি ইসরো-র আরও একটি ঘোষণা জানিয়ে দিল যে নাসা-র মতো পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও মহাকাশপ্রযুক্তিতে মোটেই পিছিয়ে নেই ভারত। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতের পাঠানো বিশেষ যান বা রোভার। প্রকল্পের নাম ‘চন্দ্রযান টু’। এই যানটি চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। এর আগে ইসরো-র পাঠানো ‘চন্দ্রযান ওয়ান’ ২০০৮ সালে মহাকাশে যায় এবং প্রায় এক বছর চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন
আবহাওয়া উপগ্রহকে কক্ষপথে পৌঁছে দিল ভারতের নটি বয়
সার্জিক্যাল অ্যাটাকে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে ভারত?
২৬ মিনিটে বাজিমাত ভারতের! ২০টি উপগ্রহের উৎক্ষেপণ
এর পরের ধাপই হল ‘চন্দ্রযান টু’। এই প্রকল্পের কথা ইসরোর বিজ্ঞানী এবং সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ভি রঙ্গনাথন। তিনি জানিয়েছেন যে ‘চন্দ্রযান টু’-এর প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষ, এখন শুধু উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়া বাকি। এই রোভারটি চাঁদের বুক থেকে মাটি, পাথর এবং অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে আনবে বলে জানা গিয়েছে।