সৌরমণ্ডলের অন্যান্য গ্রহগুলিতে প্রাণের সন্ধান চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহে বিচরণ করছে নাসা ওই গ্রহে পাঠিয়েছে তিনটি মার্স এক্সপ্লোরেশন রোভার— স্পিরিট, অপরচিউনিটি ও কিউরিওসিটি। তিনটিই এখনও পর্যন্ত সফল, তাই ভবিষ্যতে আরও মার্স রোভার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসা-র। একটি রোভার-এর কাজ হল, গ্রহের বুকে হেঁটে চলে বেরিয়ে নানা ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা এবং বিশদে গ্রহের ছবি তোলা। রোভারের তোলা ছবিগুলি দিয়েই বিজ্ঞানীরা তৈরি করবেন গ্রহের বিশদ মানচিত্র যাতে এর পরে যখন মহাকাশচারীরা পা দেবেন গ্রহে অর্থাৎ ম্যানড মিশন যাবে মঙ্গলগ্রহে, তখন তাদের বিশেষ সুবিধা হয়।
এখনও পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে প্রাণের উপস্থিতির কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। সম্ভাবনাময় কিছু ক্লু হয়তো পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু যদি থাকে এমন কোনও সেন্সর যা প্রাণের উপস্থিতি থাকলেই অ্যালার্ট দেবে, তবে বিজ্ঞানীদের বিশেষ সুবিধা। তাই এমনই একটি যন্ত্র তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন নাসার প্রযুক্তিবিদরা। তাঁরা তৈরি করছেন একটি বিশেষ বায়ো-ইন্ডিকেটর লিডার যন্ত্র। এই বিশেষ প্রযুক্তির যন্ত্রই নাকি স্রেফ গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারবে যে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না। এই সেন্সর যন্ত্রটি পরবর্তী মার্স রোভারে আটকে দিলেই ব্যস। যদি সত্যিই সে গ্রহে কোথাও কোনও গাছ বা প্রাণী থেকে থাকে, তবে ধরা পড়বে সেন্সরে।
আরও পড়ুন
আশেপাশে বিস্ফোরক আছে কি না, তা জানিয়ে দেবে পালংশাক!
মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে রঙিন অঞ্চল কেমন? ছবি প্রকাশ করল নাসা
বৃহস্পতি থেকে ভেসে এল রহস্যময় শব্দ!
নাসার ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এই যন্ত্রটি হল এক ধরনের রিমোট সেন্সিং রাডারের মতো। তবে এখানে রেডিও ওয়েভের পরিবর্তে আলোর সাহায্যে আবহমণ্ডলের ধূলিকণা পর্যবেক্ষণ করবে যন্ত্রটি এবং পর্যালোচনা করবে তার গন্ধও। জানা গিয়েছে, রোভারের উপরের দিকে অনেকটা নৌকোর মাস্তুলের মতো অংশে লাগানো থাকবে এই সেন্সরটি যাতে আলট্রাভায়োলেট লেজারের মাধ্যমে ধূলিকণা পর্যবেক্ষণে সুবিধে হয়। সেই ধূলিকণা সাম্প্রতিক কোনও জৈব প্রক্রিয়ার ফলে তৈরি হয়েছে নাকি বহুদিন আগেই তৈরি হয়েছিল, তাও খুঁজে বার করবে এই যন্ত্র। কয়েকশো মিটার দূর পর্যন্ত কাজ করবে এই সেন্সর বলে জানা গিয়েছে। মার্স রোভার ছাড়াও মার্স প্রদক্ষিণরত স্পেসক্রাফটেও এই সেন্সরটি লাগানোর ভাবনাচিন্তা চলছে।