মানুষ মানুষকে বহু ক্ষেত্রে হিংসে করে। কিন্তু পশুদের মধ্যেও কি এই বৈশিষ্ট্য রয়েছে? এই প্রশ্ন অনেকেরই। যাঁরা বাড়িতে বিড়াল বা কুকুর পোষেন। তাঁরা এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। বাড়িতে একটি বিড়াল বা কুকুর থাকতেও অনেকে আবার নতুন চারপেয়ে সদস্য নিয়ে আসেন। আর সেই নতুন ছানা সদস্যকে দেখে ক্ষেপে যায় বাড়ির পুরনো পোষ্যটি। পাছে, নিজেদের অর্জিত স্থান নতুন ক্ষুদের হাতে চলে যায়— এই ভেবেই তারস্বরে ভৌ-ভৌ বা মিউ-মিউ শুরু করে দেয়।
মালিক অন্য হুলোকে দেখভাল করলেই হিংসে। ছবি— পিক্সঅ্যাবে
‘লাইভ সায়েন্স’ ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশুদের মানসিকতা ও আবেগ কেমন হয় তা জানার জন্য কয়েকজন বিজ্ঞানী গবেষণা চালান। সেই গবেষণা থেকেই বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন, ঈর্ষা একটি আদিম অনুভূতি, যা মানুষ ও পশু— দুইয়ের মধ্যেই বিরাজ করে। বিশেষত কুকুর, বিড়াল-সহ গৃহপালিত পশুদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়।
২০১৪ সালে মার্কিন দেশের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি পরীক্ষা করেছিলেন। এই সমীক্ষায় কয়েকজন কুকুরের মালিককে নকল কুকুর দেওয়া হয়। মালিককে সেই নকল কুকুরের সেবাযত্ন করতে দেখে আসল পোষ্যকুকুরদের প্রতিক্রিয়ায় ঈর্ষা প্রকাশ পায়। তবে কয়েকটি কুকুর চুপ করে ছিল। বিজ্ঞানীরা জানান, এই কুকুরগুলি বুঝে গিয়েছিল যে, তাদের মালিক নকল কুকুরকে আদর করছে।
তিতি মাংকি। ছবি— উইকিপিডিয়া
দক্ষিণ আমেরিকার তিতি মাংকিদের মধ্যেও হিংসে কাজ করে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৭-তে ‘ফ্রন্টিয়ারস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মানুষের মতোই নিজের সঙ্গীকে অন্য কোনও পরপুরুষ বা পরস্ত্রীর সঙ্গে মিশতে দেখলে তিতি মাংকিদেরও হিংসে হয়।
পাখিদেরও হিংসে। ছবি— পিক্সঅ্যাবে
তবে শুধু বিড়াল, কুকুর বা তিতি মাংকি নয়, পোষা পাখিদের মধ্যেও হিংসে কাজ করে।